রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর সূর্য্য নগরের দয়ালনগর এলাকায় ছাত্রীর সঙ্গে আ***কর অবস্থায় ধরা পড়েন ফরিদ দেওয়ান নামে এক শিক্ষক। পরে ১০ লাখ টাকা কাবিনে তাদের বিয়ে পড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
আ*** শিক্ষক ফরিদ দেওয়ান সদর উপজেলার সূর্য্য নগর দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি আগে থেকেই বিবাহিত। ওই পক্ষে তার দুইটি সন্তান রয়েছে।
এদিকে ওই ছাত্রী মিজানপুর ইউনিয়নের দয়ালনগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ফরিদ মাস্টার ইউনিয়নের নয়নদিয়া গ্রামের টুকু পুলিশের বাড়িতে ভাড়া থেকে সূর্য্য নগর স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। প্রেমের সম্পর্কের জেরে দীর্ঘদিন ধরে তিনি ওই ছাত্রীর বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। এ সময় অসামাজিক কাজেও লিপ্ত হতেন তারা। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন চলছিল।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ওই ছাত্রীর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ফরিদ মাস্টার সেখানে যান। বিষয়টিতে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাড়িতে গিয়ে তাদের আ***কর অবস্থায় দেখতে পান।
ওই সময় উত্তেজিত কিছু জনগণ ওই শিক্ষককে মার*ধর করেন এবং পুলিশে খবর দেন। পরে শিক্ষক ও ছাত্রীর সম্মতিতে রাতেই ১০ লাখ টাকা কাবিনে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিয়ে দেয়া হয়।
ছাত্রীর বাবা জানান, তিনি ভ্যান চালিয়ে সংসার চালান। তার মেয়ে সূর্য নগর দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ত এবং এখন সে কলেজে পড়ে। ফরিদ মাস্টার তার মেয়েকে দিয়ে তার স্কুলের খাতা দেখাত। ঘটনার সময় তারা কেউ বাড়িতে ছিলেন না।
রাজবাড়ী সদর থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারেন ওই শিক্ষক ও ছাত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। ঘটনার দিন রাতে ওই শিক্ষক মেয়ের বাড়িতে গিয়ে আ***কর অবস্থায় স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাদের দু’জনের সম্মতিতে বিয়ে দেন।